গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির, ঝালকাঠি ॥ ঝালকাঠিতে হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ শুরু হয়েছে। প্রচন্ড গরমে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে অনেক মানুষ। বিছানা না পেয়ে বারান্দা ও মেঝেতে চিৎিকসা নিচ্ছেন রোগীরা। জেলার সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সগুলোতে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় দুই দিনে তিন শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসা নিয়েছেন আরো শতাধিক মানুষ। হঠাৎ করে ডায়রিয়া বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও সেবিকারা। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তথ্য মতে, শুক্রবার থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ডায়ারিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় দেড়শজন রোগী। এর মধ্যে বেশি আক্রান্ত শিশু ও বয়স্করা ভর্তি হচ্ছেন। এদিকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৩টি বেড থাকলেও আজকের দিনে রোগী রয়েছে ৬২ জন। বিছানায় স্থান সংকুলান না হওয়ায় মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে অনেক রোগীকে। একসঙ্গে এতো রোগীর চাপ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও সেবিকারা। একই অবস্থা বিরাজ করছে নলছিটি, রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলাতে। তিনটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ডায়রিয়া রোগীর চাপ সামলাতে কষ্ট হচ্ছে চিকিৎসকদের। এমন পরিস্থিতিতে বাইরের খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মামপি দত্ত বলেন, প্রতিদিন যেহারে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে আসছে, তাতে তাদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। আমাদের বিছানা রয়েছে ১৩টি, অথচ রোগী ভর্তি হচ্ছে প্রতিদিন ৪০-৫০ জন। এখন বাধ্য হয়ে বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। আমাদের পর্যাপ্ত স্যালাইন রয়েছে। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মো. আবুয়াল হাসান বলেন, বয়স্ক ও শিশুরা বেশি ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। জনবল কম থাকলেও আমরা সাধ্যমতো ডায়রিয়ার রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আক্রান্ত রোগীকে বিশুদ্ধ পানি পান ও নিরাপদ খাবার খাওয়াতে হবে। পাশাপাশি শিশুদের নিরাপদে রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।
Leave a Reply